,

নবীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ১০

টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের পল্লীতে পুর্ব বিরোধের জের এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অনন্তঃ একই পরিবারের মা, ছেলেসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ এবং বাকীদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ মার্চ সকালে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের জহুরপুর গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের জহুরপুর গ্রামের মৃত কছির মিয়ার ৩ ছেলে মোবারক মিয়া, ইছাক মিয়া ও ইয়াসিন মিয়া প্রায় ৪০ বছর পূর্বে ৭১ শতক ভুমি খরিদ করেন একই গ্রামের মফিজ উল্লা। ওই সময় থেকেই মফিজ উল্লা তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দালাল ঘর তৈরী করে ওই ভুমিতে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোসহ বিভিন্ন জাতের প্রচুর গাছ-বাশ লাগানো হয়। এক পর্যায়ে মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে আবু শ্যামা প্রায় ৩/৪ বছর পুর্বে তার বাবা-চাচার বিক্রিত মফিজ উল্লার পরিবারের দখলীয় ভুমিতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপুর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এনিয়ে দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঘটনাসহ উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা দায়ের হয়। এক পর্যায়ে প্রায় ২ শতক ভুমি দখল একটি চাপটা ঘর তৈরী করে আবু শ্যামা জবর দখল করে বসবাস করে। এরপর থেকেই মৃত মফিজ উল্লার স্ত্রী আয়শা বেগম, ছেলে ছোটন মিয়া, উজ্জল মিয়াকে নানা ভাবে হুমকী দিতে থাকে। তারা সার্বক্ষনিকভাবে আবু শ্যামার হুংকারে আতংকের মাঝে দিন পার করছেন। এছাড়াও আবু শ্যামা জোরপুর্বক তাদের ফলন গাছ জোরপুর্বক কেটে নিয়ে যায় এবং গাছ থেকে জোর করে সুপাড়ি নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে তার হাতে লাঞ্চিত হতে হয়। এ সব ঘটনায় মামলা রয়েছে আবু শ্যামার বিরুদ্ধে। গত ২৬ মার্চ মফিজ উল্লার বসানো টিউবওয়েল নষ্ট হলে তার ছেলে উজ্জল মিয়া টিউবওয়েলের সীট লাগানোর সময় আবু শ্যামা বাধাঁ দেয়। তার অন্যায় বাধাঁ উপেক্ষা করে কাজ করলে আবু শ্যামা, তার চাচাতো ভাই ইয়াওর মিয়া, আইরুন বেগম, রোসনা বেগমসহ একদল লোক উজ্জল মিয়ার উপর অর্তকিতভাবে হামলা করে। এ সময় উজ্জল মিয়ার শরীরের কামড় দিলে তার চিৎকারে মা আয়শা বেগম, ভাই ছোটন মিয়া উজ্জলকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে আবু শ্যামা তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এতে উপর হামলা চালায়। এতে তারা রক্তাত্ত্ব জখম হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা করান। আহত ছোটন মিয়া (২৬) ও উজ্জল মিয়া (২৮) কে কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত লিলজান বিবি (৫৫), আয়েশা বেগম (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আয়শা বেগম জানান, এ ঘটনার পর থেকে তারা বাড়িতে উঠতে পারছেন না। আবু শ্যামা তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর